বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

খেলান-দোলানের গল্প

 

অনেক দিন আগেকার কথা। এক দেশে এক রাজা তার এক রানি কে নিয়ে থাকতেন। সেই রাজার ভারী দুঃখ। একে তো দেশে কোন সুখ-শান্তি নেই, তার ওপরে রাজার কোন ছেলেমেয়ে নেই। একদিন রাজার দরবারে এক সন্ন্যাসী এলেন। তিনি বললেন,
"মহারাজ,আমি আপনার দুঃখ জানি”। বলে তিনি একটি গোলাপ ফুল দিলেন, তারপর আবার বললেন, "এই ফুল যদি আপনি পাঁচদিন জলে রেখে, পিষে আপনার রানিকে মধু দিয়ে খাওয়ান তাহলে আপনার সব দুঃখ ঘুচে যাবে”। এই বলে তিনি সেই ফুল রাজার হাতে দিয়ে দরবার থেকে চলে গেলেন। রাজা ঠিক সন্ন্যাসীর কথা মত ফুলটাকে পাঁচদিন জলে রেখে পিষে মধু দিয়ে রানিকে খাওয়ালেন। তারপরে রানির দুই জমজ ছেলে হল। তাদের নাম দেওয়া হল খেলান আর দোলান। তাদের এইরকম নামের কারন আছে। খেলান
সবসময় খেলতে থাকে আর দোলান সবসময় দুলে দুলে ঘুমোয়। তাদের কাজকম্মো ছাড়া আর সব এক। তাদের চোখদুটো এক-ই রকম, গায়ের রঙ এক, মাথায় এক-ই রকম লম্বা।

এদিকে হয়েছে কি, সেই রাজ্যের দিকে এক রাক্ষসের নজর ছিল। রাজ্যের সব ঘোড়া আর হাতিকে রাক্ষস খেয়ে ফেলল, তারপর যত সেপাই সান্ত্রীকে। তারপর রাজা আর রানিকেও গপ্‌ করে গিলে ফেলল। তখন খেলান আর দোলান বেশ বড় ছেলে। ওরা সেদিন খাটের নিচে ঢুকে লুকোচুরি খেলছিল তাই রাক্ষস ওদের খুঁজে পায়নি। খাটের তলা থেকে বেরিয়ে ওরা বলল “একি! আমাদের রাজ্যের সবাই রাক্ষসের পেটে চলে গেছে! ওকে শায়েস্তা করতে হবে”।

তখন খেলান আর দোলান ইচ্ছে করে হাতে দড়ি পাকিয়ে নিয়ে রাক্ষসের অপেক্ষায় খাটে উঠে শুয়ে রইল। রাক্ষস এল হাঁউ-মাঁউ-কাঁউ বলে মানুষের গন্ধ পেয়ে। এক গরাসে গপ্‌ করে যেই খেলান কে খেতে গেছে অমনি দোলান ওর হাতের দড়ি দুলিয়ে দিল, আর সেই দড়ি রাক্ষসের চারিদিকে পাক খেয়ে জড়িয়ে গেল। রাক্ষস বন্দী হয়ে গেল। খেলান তো খুব ভাল খেলতে পারে, সে তখন রাক্ষস কে লাট্টুর মতন ঘোরাতে লাগল, দড়িটাকে লেত্তি করে। রাক্ষস বাঁই বাঁই ঘুরতে লাগল সেই সঙ্গে ওর মাথা ঘুরতে লাগল। তখন দোলান তাকে তুলে নিয়ে দোলাতে শুরু করল। অমনি হড়হড় করে রাক্ষস বমি করে ফেলল,আর ওর পেট থেকে রাজা, রানি, মন্ত্রী, সেপাই, সান্ত্রী, হাতি, ঘোড়া সব বেরিয়ে এসে আবার দিব্যি আগের মতন হাঁটা চলা করতে লাগল।

শেয়াল পণ্ডিত ও কুমিরের গল্প

 এ গল্পটা শোনেনি বা পড়েনি এমন লোক মনে হয় খুঁজে পাওয়া দুস্কর! আমার ছোটবেলার হাজার হাজার প্রিয় গল্পগুলির মাঝে এ অবিস্মরণীয় গল্পটি আজও আমার কাছে চির স্মরণীয় হয়েই আছে। গল্পটা আবারও আমি লেখায়,গানে আর আবৃতিতে পড়াচ্ছি, শোনাচ্ছি আর দিব্যচোখে দেখাচ্ছি! ঠিক আমার স্কুলের বেবিদের জন্য আমি যেভাবে গল্প বলি।

এক ছিলো দুষ্টু শেয়াল। খরস্রোতা এক নদীর আশেপাশের জঙ্গলেই ছিলো তার বাস।সেই নদীতে থাকতো এক কুমীর।কুমিরটা ভীষন বোকা আর তার ছিলো সাতটি ছানা।
এক যে শেয়াল দুষ্টু শেয়াল বড্ড পাজী ধূর্ত
দিন দুপুরে নদীর ধারে সকাল বিকাল ঘুরতো।
সেই নদীতে থাকতো কুমির সাতটি ছানা সঙ্গে
একটা হাসে একটা কাঁদে নানান রকম ঢঙ্গে!
কুমিরের সাতটি দুষ্টু দুষ্টু বাবুরা সারাদিন দুষ্টুমি করতো। কুমিরের খুব সাধ ছিলো তার বাচ্চাগুলো কোনো পাঠশালায় পড়ে মানুষ হোক। কিন্তু পাঠশালা ছিলো অনেক দূরে। মানুষের পাঠশালা ! সেথায় কি আর যাওয়া যায়! কুমিরের কোনো ধারনাই ছিলোনা। সে শুনেছে লজিং টিচার রেখে বাড়িতেও বাচ্চাদের পড়ালেখা শেখানো যায়। অনেকদিন আগে মানুষ বাড়িতে খানাপিনা আর থাকার বিনিময়ে এমন সব লজিং টিচার রাখতো যারা যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ির ছোট ছোট বাবুদেরকে পড়াতো আর নিজেরাও পড়ালেখা করতো।
সাতটি ছানা দুষ্টু ভীষন পড়াতে নেই মন যে
পাঠশালাটা যেটাও আছে সেটাও দূরের গঞ্জে।
কি আর করে কুমির মাটা উপায় যদি থাকতো
ছানা পোনার জন্য নাহয় লজিং টিচার রাখতো।
কুমির মায়ের মনে অনেক দুঃখ ছিলো। ওরা গরীব, ওদের হয়তো সাধ্য নেই কিন্তু স্বপ্ন তো আছে! কুমির মা স্বপ্ন দেখতো ছেলেরা ছাত্র আর মেয়েগুলো ছাত্রী হয়ে রোজ রোজ পাঠশালা যাচ্ছে আর অনেক পড়ালেখা করে অনেক বড় বড় মানুষ হচ্ছে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত। আশা পূরণ হত না কুমির মায়ের তাই দুঃখে বুক ভেঙ্গে যেত তার।
গরীব ওরা সাধ আছে ঠিক নেইকো মোটেও সাধ্যি
কুমির মায়ের চোখ জুড়ে হায় করুণ সুরের বাদ্যি।
ছেলেগুলো ছাত্র হবে আর মেয়েরা ছাত্রী
কুমির মাটা স্বপ্ন দেখে সকাল দুপুর রাত্রী।
দিন কেটে যায়। সুদিনের চিন্তায় কুমির মায়ের মনে শান্তি নেই অথচ ছেলেমেয়েরা মনের আনন্দে নেচে গেয়ে খেলে বেড়াচ্ছে। এইভাবে কাটে দিন, কাটে রাত।কুমির মায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়না।
আসবে কবে এমন সুদিন সেটাই মায়ের চিন্তা
দিন কেটে যায় ধিনাক পিনাক তাক ধিনা ধিন ধিন তা
তাক ধিনা ধিন ধিন যায়রে কেটে দিন
তাক ধিনা ধিন তাত যায়রে কেটে রাত।
অডিও লিঙ্ক-১ম পার্ট]
এইদিকে সেই যে নদীর তীরে বনটায় থাকতো শেয়ালটা। সে মাঝে মাঝেই নদীর ধারে মিষ্টি ফুরফুরে বাতাসে ঘুরতে যেত।নদীর হিমেল হাওয়া তার বড়ই প্রিয় ছিলো। সে হাওয়া তার মনটা উদাস করে তুলতো। তো একদিন তাই সে বিকেলবেলা নদীর তীরে বেড়াতে গেলো।
শেয়াল নাচে তাই রে না
আজকে যাবে বাইরে না
থাকবে নদীর ধারে, নদীর হিমেল মিষ্টি বাতাস
কেবল বারেবারে উদাস করে তারে, শেয়াল তাই দাঁড়িয়ে থাকে!!!!!!
এইদিকে ঠিক এ সময় কুমির মাটাও ডাঙ্গায় উঠেছে। শেয়াল তো কুমিরটাকে দেখে ভীষন ভয় পেলো।সে ভেবেছিলো কুমির বুঝি তাকেই ধরতে এসেছে বা কোনো

কারণে কুমির তার উপরে রেগেছে। কি করবে এখন সে !

পায়ে পায়ে কুমির মাটা উঠে এলো ডাঙ্গায়
শেয়াল ভাবে কুমির বুঝি তাকেই চোখ রাঙ্গায়
কি করা যায় কি করা যায় কুমির কেনো রাগলো
হঠাৎ করে সেই শেয়ালের বুদ্ধি মাথায় জাগলো।
সে খুব ভয় পেলো কিন্তু সে খুবই চালাক ছিলো তাই তাড়াতাড়ি একটা বু্দ্ধি আটলো। কুমিরকে খুশী করতে সে বললো-
হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া কেমন আছো মাসী
ইচ্ছে আমার অনেক দিনের আলাপ করতে আসি।
সুযোগ কি আর জোটে পাইনে সময় মোটে।
এই কথা শুনে বোকা কুমির ভাবলো নিশ্চয় এই শেয়ালটা তার অনেক দূরের নদীতে বাস করা বোনের ছেলে। হ্যাঁ ঠিক ওর মতনই তো লাগছে । আরে এইতো সেই পাবলো।
মাসী বলে কেরে আমায় ডাকে?
বোকা কুমির অবাক চেয়ে থাকে
শেয়ালটাকে দেখতে পেয়ে বোকা কুমির ভাবলো
এই বুঝি তার বোনের ছেলে নাম ছিলো তার পাবলো!
সে খুব খুশী হয়ে গেলো কিন্তু দুঃখ করে বললো!!!
পাবলো ওরে কোথায় থাকিস কত্ত বছর আসিসনা
আসলে এই মাসীকে তুই মোটেও ভালো বাসিসনা।
শেয়াল ভাবলো যাক বাঁচা গেলো। কুমিরকে সে বোকা বানাতে পেরেছে। আর তাই সে বললো তাকে অনেক ব্যাস্ত থাকতে হয়। অনেক পড়া লেখা করে অনেক বড় চাকুরী করছে সে। তার সময়ই হয়না এতটুকু যে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে একটু যায়।
শেয়াল ভাবে এই তো সুযোগ মাসী আমার মাসী গো
চাকরি করি সরকাররি তাই কেমন করে আসি গো
আমার নামের আশে পাশে কত রকম ডিগ্রী
ইংরেজীতে অনার্স নিতে যাচ্ছি বিলেত শিঘ্রী।
কি সাংঘাতিক! তারই বোনের ছেলে হয়ে পাবলো এত পড়ালেখা করেছে! এত বড় চাকুরী করছে! আবার ইংরেজীতে অনার্স নিতে সে খুব শিঘ্রীই বিদেশেও যাচ্ছে!!! হায়রে আর আমার বাচ্চাগুলো! কি হলো তাদের জীবনে ! তারা তো মুর্খ হয়েই রইলো!
কথা শুনে কুমির মায়ের উথলে ওঠে দুঃখ।
সাতটি ছেলে মেয়ে আমার রইলো হয়ে মুর্খ!
অডিও লিঙ্ক প্রাকটিস-২য় পার্ট
দুষ্টু শেয়ালের মাথায় আরও দুষ্টু বুদ্ধি জাগে। সে অবাক হয়ে বলে ও মাই গড!!!! আমার মাসীর ছেলে মেয়ে হয়ে তারা এখনও পর্যন্ত মূর্খ হয়ে রয়েছে!! এই কথা কি মানা যায়! আমি নিজেই যেখানে একটা পাঠশালা খুলে বসেছি পশুপাখির ছেলেমেয়েগুলোকে মানুষ করার জন্য আর সেখানে আমার নিজের মাসীর ছেলেমেয়েই পড়ালেখা করছেনা। এতো হতে পারেনা! এত কাছে আমার পাঠশালা অথচ আমার মাসীর তার বাচ্চাদের সেখানে পাঠানোর কোনো খবরই নেই!!! সে অবাক হয়ে বলে-
অবাক হয়ে শেয়াল বলে কি কথা জঘন্য!
এত্ত বড় পাঠশালাটা খুলেছি কার জন্য!
পাঠশালাটা এই তো কাছে অনেক ছাত্র ছাত্রী
আরাম হারাম করে আমি পড়াচ্ছি দিন রাত্রী।
শেয়াল আরও বলে খুব কম বেতন নিয়েই সে পশুপাখির বাচ্চাগুলোকে পড়াচ্ছে আর তার মাসীর বাচ্চাদের জন্য পড়ালেখা একদম ফ্রি! সে মাসীকে নিশ্চিৎ করে--
পশুপাখির ছানাগুলো মানুষ করার ইচ্ছে
বিনিময়ে নামমাত্র মাইনে ওরা দিচ্ছে!
তোমার কাছে মাইনে?
চাইতে পারি?
চাইনে!!!!
অডিও লিঙ্ক প্রাকটিস-৩য় পার্ট
এই কথা শুনে পরদিন কুমির মা টা বাচ্চাগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে শেয়ালের কাছে দিয়ে এলো। তার পাঠশালাতে পড়ালেখা শিখিয়ে শেয়াল যেন বাচ্চাগুলোকে মানুষ করে তোলে-
সাত সকালে লাজুক লাজুক এবং ভীরু পায়
সাতটি ছানা সঙ্গে কুমির পাঠশালাতে যায়!

বেশ কিছুদিন পর---কুমির মায়ের মনটা কেমন যেন করছিলো- সে ভাবলো ---
অসুখ বিসুখ করেনিতো আমার কোনো ছানার?
দিন পনেরো পার হয়েছে সময় হলো জানার
কিন্তু ওরা কেমন আছে পাঠশালাতে মা ছাড়া?
দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করে কথাও আছে তা ছাড়া---
তার মন একটু খুত খুত করছিলো।পাবলো তো তার বাচ্চাদের আপন ভাই না । বোনের ছেলে। ভালো মত খেয়াল রাখছে তো! নাহ একটু খোঁজ খবর নেওয়া উচিৎ! সে চললো শেয়ালের পাঠশালায়, বাচ্চাদেরকে দেখতে-
পাবলো আমার বোনের ছেলে ওদের আপন ভাইনা।
কুমির মায়ের মন ছটফট আজই কেনো যাইনা।
এইদিকে ---দুষ্টু শেয়াল মনের আনন্দে দু তিন দিন পর পর একটা একটা করে কুমিরের ছানাদের মজা করে খাচ্ছে! বাকী রইলো মাত্র একটা ছানা।
দুষ্টু শিয়াল ধূর্ত শেয়াল ভীষন মজা পাচ্ছে।
দুতিনদিন পরপরই সে কুমির ছানা খাচ্ছে।
ছটি ছানা সাবাড় হলো সাতটি ছানার মধ্যে
পাঠশালাটা চলছে ভালোই পদ্যে এবং গদ্যে
এদিকে কুমির বাচ্চাদেরকে দেখতে এসেছে দেখে তো শেয়াল মহা চিন্তায় পড়লো! এখন কিভাবে সাত বাচ্চাকে দেখাবে সে! সে বুদ্ধি খুঁজতে লাগলো! কিন্তু উপরে উপরে খুব বিরক্তি দেখালো । বললো আরে পাঠশালাতে এইভাবে রোজ রোজ যখন তখন বাচ্চা দেখার নিয়ম নেই তুমি চলে যাও মাসী!
কুমির এলো দেখতে ছানা
শেয়াল বলে দেখতে মানা।
মাস পেরোলে শেষে, দেখে যেও এসে----
কিন্তু কুমির মায়ের আজ মনটা কেমন কেমন করছে। সে বললো না বাবা আমার খুব মন খারাপ লাগছে । প্লিজ একটুখানি দেখা।
কুমির মায়ের দুচোখে জল ঝরে
ওদের জন্যে বুক ছটফট করে।
ওদের ছাড়া কেমনে থাকি একা
পাবলোরে তুই একটুখানি দেখা।
কুমিরের কান্নাকাটি দেখে না পেরে শেয়াল বললো । ওকে দাঁড়াও ওদেরকে আমি নিয়ে আসছি কিন্তু তুমি খবরদার ভেতরে আসতে পারবেনা। পাঠশালার ভেতরে মায়েদের ঢোকার নিয়ম নেই। শুধু বাচ্চারাই সেখানে থাকে নইলে অন্য বাচ্চাদের ডিস্টার্ব হয়। সে ভীষন বিরক্ত ভাব দেখালো । কুমির মা টা একটু লজ্জাও পেলো , ভয়ও পেলো কি ভুলটা বুঝি সে করে ফেলেছে।
শেয়াল বলে কি মুসকিল মাসী
আচ্ছা দাঁড়াও ওদের নিয়ে আসি
বাইরে থেকেই দেখবে তুমি ভেতর আসা বারণ
কারণ আছে কারণ!!!!
এরপর-
কুমির মা টা দাঁড়িয়ে থাকে বাইরে
পাঠশালাতে ঢোকার কোনো নিয়ম নাকি নাইরে!!!
দুষ্টু শেয়ালটা এরপর একটি ছানাকেই ১ বার, ২ বার, ৩ বার এইভাবে করে ৭ বার জানালা দিয়ে দেখিয়ে বলে এই তোমার সাত ছানা।
দুষ্টু শিয়াল বন্ধ ঘরের জানালাটা খুলে
সাতটি ছানা দেখায় মাকে একে একে তুলে
কুমির মাটা হদ্দ বোকা বুঝতে কি আর পারে
ধূর্ত শেয়াল একটি ছানায় দেখায় বারেবারে!
বোকা কুমির কিচ্ছু বুঝতে পারেনা। সে একটা ছানাকেই সাত বার দেখে সাতটি ছানাই দেখেছে ভেবে খুশী মনে বাড়ি ফিরে যায়।
বোকা কুমির খুশী মনে বাড়ির দিকে যায়
ধূর্ত শেয়াল দারুন খুশি ডিগবাজি সে খায়।
অডিও লিঙ্ক প্রাকটিস-৪র্থ পার্ট
তারপর একমাস পরে কুমির আবার দেখতে এলো বাচ্চাদেরকে। কিন্তু একি!!!!----
তারপর ঠিক ঠিক এক মাস পরে
দেখে শুনে কুমিরের চোখে জল ঝরে
ছানা নেই পোনা নেই নেই পাঠশালা
দরজায় ঝুলে আছে ইয়াব্বড় তালা!!
বোকামীটা বুঝতে পেরে নিজে
কুমির মাটা কাঁদতে থাকে কি যে!!!
কুমির মা টা বুঝলো ধূর্ত শেয়াল তাকে বোকা বানিয়ে তার সাত ছানাকেই খেয়ে ফেলেছে! সে ভীষন দুঃখ পেলো। তার চোখের জলে নদীতে বন্যা এসে গেলো।
অডিও লিঙ্ক প্রাকটিস ৫ম পার্ট
অনেকদিন পর----
একদিন শেয়াল পানি খেতে চুপি চুপি নদীতে নেমেছে। কুমির অনেকদিন অপেক্ষা করেছিলো কিন্তু কোনোভাবেই তার হদিস পাচ্ছিলোনা। সে পানির নীচে লুকিয়ে ছিলো । যেই না শেয়াল পানি খেতে নদীতে নামলো অমনি কুমিরটা তার পা খেক করে কামড়ে ধরলো!

একদিন শেয়ালের পেলো খুব তেষ্টা
নদীতেই পানি খেতে করলো সে চেষ্টা
কুমিরটা টের পেয়ে পাটি চেপে ধরলো
শেয়ালটা বুঝলো কি বোকামি সে করলো।

ত----খ---ন----
অমনি শেয়াল বুদ্ধি করে বলে
ফাঁদ পেতেছো কুমির তলে তলে !
কিন্তু বোকা মনে করে পাটি
ধরলে কিনা আমার হাতের লাঠি!
কুমিরের এই কথা শুনে বোকা কুমির ভাবলো হায় হায় ধ্যাৎ কি যে ভুল করলাম! ভুল করে পা না ধরে শেয়ালের লাঠি ধরে ফেলেছি!!! নো প্রবলেম এখুনি তার পা কামড়ে ধরছি! আজ পালাবি কোথায়!!! শেয়াল তোর রক্ষা নাই!!!! কিন্তু----
কুমির ভাবে হলেও হতে পারে
পা ধরতে লাঠিটা যেই ছাড়ে
অমনি শেয়াল দৌড়ে ডাঙ্গায় ওঠে
উর্ধশ্বাসে উল্টো দিকে ছোটে।

কুমির অবাক হয়ে দেখে-- শেয়াল পালিয়ে গেলো----
ছুটতে ছুটতে শেয়াল গেলো বনে
কুমির মা টা কাঁদছে ক্ষনে ক্ষনে!!!!!
অডিও লিঙ্ক ৬ষ্ঠ পার্ট

তার আর তখন কিছুই করার নেই!!! কুমিরটা আজও কাঁদছে!!! ছেলেমেয়েদেরকে হারানোর দুঃখে আবার শেয়ালের উপর প্রতিশোধও না নিতে পারার শোকে!!!:( :( :(

মোরাল অব দ্যা স্টোরী- দুষ্টু লোকের মিষ্ট কথায় ভুলতে নেই।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন জেনে নিন।

সাময়িক যুগে, আয় তৈরির জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করা অনেকের জন্য একটি অ্যাক্সেসযোগ্য এবং কার্যকর বিকল্প হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত আয়ের ধারা খোঁ...